বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩ এর মহাখালী কার্যালয়ের পাশে একটি পশু জবাইখানার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান, মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টুসহ ডিএনসিসি’র কর্মকর্তারা।
জামাল মোস্তফা বলেন, রাজধানীর যত্রতত্র পশু জবাই হতো, যেটা পরিবেশ সম্মতও না সেই মাংসও স্বাস্থ্যসম্মত না। তাই আমরা চিন্তা করেছি প্রতিটি জোনে অন্তত একটি করে পশু জবাইখানা নির্মাণ করবো। নগরবাসীর চাহিদা ও জমিপ্রাপ্তি স্বাপেক্ষে এই জবাইখানা নির্মাণ করা হবে।
মহাখালীতে যে জবাইখানাটি করা হলো এখানে মাংস ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরাও ব্যবহার করতে পারবেন। অঞ্চল-৩ কার্যালয়ের পেছনে হওয়ায় মানুষের আগ্রহ কম থাকতে পারে এমন প্রশ্নে প্যানের মেয়র বলেন, আমরা ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে মাংস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা চাই যত্রতত্র পশু জবাই বন্ধ হোক।
স্বাস্থ্যসম্মত এই জবাইখানায় একজন পশু চিকিৎসক ও একজন পরিদর্শক থাকা বাধ্যতামূলক করা আছে। গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ যেটাই জবাই করা হোক মাংস সরবরাহের আগে ডিএনসিসি’র সিল মেরে দেওয়া হবে যেন নগরবাসী প্রতারণার শিকার না হোন। প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে পশু জবাইখানা খোলা থাকবে।
বর্তমানে মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ও মিরপুরে একটি করে পশু জবাইখানা রয়েছে। গাবতলীতেও একটি আধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এসএম/এএটি