বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) মামলাটির তদন্ত ভার পল্টন থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, মামলাটির তদন্ত ভার ইতোমধ্যে ডিবি গ্রহণ করেছে। তবে এ মামলায় এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) রাতে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি (নম্বর-১০) করেন।
মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়েছে।
পড়ুন>>ভিকারুননিসার সব শাখার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে রাজধানীর শান্তিনগরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে অরিত্রী অধিকারী (১৫) নামে ভিকারুননিসার এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেন। অরিত্রী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
অরিত্রীর দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে গত ২ ডিসেম্বর পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ তাদের স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়।
এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মেয়ে পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিত্রী বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
পিএম/এমএ