বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম ও জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাত শেষে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকেই নিজ দেশে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে দিতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহায়তা করবে।
মিলার বলেন, কেবলমাত্র শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্যও যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ প্রশংসার দাবিদার বলেও উল্লেখ করেন ওই মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
৩ দিনের সফরের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে যান। সেখানে আরআরআরসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। এরপর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেখানে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক করেন রর্বাট মিলার।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনদিনের সফরে কক্সবাজার আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ওই দিন তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখার কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্প, কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া ও শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং কক্সবাজারের পাওয়ার হাইস এলাকায় বেসরকারি সংস্থা ইপসার সেল্টার হোম পরিদর্শন করেন। তিনদিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি প্লেনে ঢাকা রওয়ানা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এসবি/এএটি