বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তিনি একথা জানান।
ঢামেক হাসপাতালের ৩ সদস্যের চিকিৎসক বোর্ড সাফায়াতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, সাফায়াতের শরীরে বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন আছে। কপালে একটি ছোট আঘাত রয়েছে। তবে তাতে কোনো রক্তক্ষরণ হয়নি।
‘তার ব্রেইন ও লিভারে কিছুটা ফোলা পাওয়া গেছে। তবে অপুষ্টি ও অসুস্থতার কারণে এই ফোলা হতে পারে। তার ব্রেইন, লিভার, ব্লাড ও লাংস্ হিস্টোপ্যাথলজিতে পাঠানো হয়েছে। ’
তিনি বলেন, শিশুর শরীরে কোনো ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টের আলামত নেই। তার কপালে যে অাঘাতটি রয়েছে তা পড়ে গিয়েও হতে পরে। তবে সেই অাঘাত তার মৃত্যুর জন্য দায়ী কি-না বা কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা হিস্টোপ্যাথলজির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।
এর আগে বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের একটি বাসা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় নূরুজ্জামান কাজল নামে শিশুটির বাবাকেও আটক করা হয়, উদ্ধার করা হয় নিহত শিশুর আরেক ভাই সুরায়েতকেও।
পরে এ ঘটনায় কাজলের স্ত্রী প্রিয়া বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। কাজল এখন পুলিশ হেফাজতে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কাজল একজন মাদকাশক্ত।
এদিকে পুলিশের কাছে কাজল দাবি করেছেন, সাফায়েত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এমএ/