ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে আগাম প্রচারণায় প্রার্থীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে আগাম প্রচারণায় প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে আগাম প্রচারণায় প্রার্থীরা-ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

রাজশাহী: নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থীই প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু রাজশাহীতে তা মানছেন না প্রার্থীরা।

যাচাই বাছাইয়ের পর দিন থেকেই প্রার্থীরা নানান কৌশলে আগাম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী মাঠ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমানতালে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্ধিত সভা ও কর্মী সমাবেশের নামেও প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আর এসব প্রচারমূলক কর্মসূচির দিচ্ছেন নিজের কর্মী সমর্থকদের ফেসবুক ওয়ালে। কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে শেয়ার করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন প্রতিদিনই নিজ সংসদীয় এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সোমবার রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাজারদিয়ার বাজারে রীতিমতো জনসভারই মত বিশাল আয়োজন করেন। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।  

মাঠে চেয়ার পেতে বসে তার কর্মী সমর্থকরা বক্তব্য শোনেন। মঙ্গলবার তিনি পবা উপজেলার বড়গাছি বাজারে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি বাজারের প্রতিটি দোকানের মালিক ও বিক্রেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন। বুধবার সকাল থেকে মোহনপুর এলাকায় একইভাবে নির্বাচনী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এভাবে তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, সেখান থেকে ছবি তুলে নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করছেন।

রাজশাহী-৩ আসনের আওয়ামীলীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। তিনিও গত রোববার মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মঞ্চ তৈরি করে
এলাকার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জরুরী সভা করেন। দুদিন পর মঙ্গলবার পবায় তিনি মতবিনিময় সভা করেন। এ সভায় নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।  

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের একজন সমর্থক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই সভার ছবি তার ফেসবুকে দিয়ে লিখেছন, ‘৩০ তারিখ সারা দিন, আয়েন উদ্দিন এমপিকে নৌকা মার্কায় ভোট দিন’। পরে তা আরও ছড়িয়ে পড়ে।
 
একইভাবে রাজশাহীর বাকি চারটি আসনেও সরকার দলীয় ও সংসদ সদস্য এবং বিএনপি প্রার্থীরা সমানতালে আগাম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাজশাহী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস.এম. আবদুল কাদের বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। বিষয়টি তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যাচাই করে দেখবেন। এছাড়া কেউ সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আচরণবিধী অনুযায়ী প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এসএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।