শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করবে, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ।
এ উপলক্ষে বিকেলে জেলা শহরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা, পিটিআই সংলগ্ন মুক্ত নোয়াখালী মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দখলদার বাহিনী ও রাজাকাররা জেলার শ্রীপুর, কুরিপাড়া, গোপালপুর সহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। গুলি ও পুড়িয়ে হত্যা করে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে। গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে ও ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জেলার বামনী, তালমাহমুদের হাট, রাজগঞ্জ, বগাদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।
নোয়াখালী মুক্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যেতে থাকে পাক বাহিনী। এসময় বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করতেই সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বাধীন মুক্তি বাহিনীর হাতে অসংখ্য পাক সেনা নিহত হয়।
সাত ডিসেম্বর সূর্য উদয়ের আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে মাইজদীতে পিটিআই ক্যাম্পে হানা দেয়। সন্ধ্যার আগেই মুক্ত হয় জেলা শহর মাইজদী। মুক্ত হয় নোয়াখালী।
একাত্তর রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাদল ও মিজানুর রহমান আপেক্ষ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর ও গণকবরগুলি এখনো সংরক্ষিত হয়নি। মাইজদী পিটিআই হানাদারদের ক্যাম্পে অত্যাচার ও গুলি করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার পর জেনারেল হাসপাতালের পেছনে গর্ত করে পুঁতে ফেলতো। তাদের কবরগুলোও সংরক্ষিত হয়নি। তারা দু’জনই দিবসটি যথাযথ পালনের পাশাপাশি মহান শহীদদের কবরগুলো সংরক্ষণের দাবি জানান।
বাংলাদেম সময়: ০৫৪৩ ঘণ্টা, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
এমএমএস