১৭৫ কিলোমিটার এ রেলপথে যাত্রী কম থাকায় খাবার কিনে খাওয়ারও তেমন ব্যবস্থা নেই। সপ্তাহে একদিন চলাচলের পরও যাত্রী সংকটের এ চরম অবস্থায় এ রুটে ট্রেনে কতদিন চালু থাকবে এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা থেকে ছেড়ে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে খুলনা স্টেশনে পৌঁছায় বন্ধন এক্সপ্রেস। আর দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে খুলনা থেকে কোলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ট্রেনের টিটি সঞ্জিবুল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আজ কলকাতা থেকে আসা বন্ধন এক্সপ্রেসে ৮৮ জন যাত্রী খুলনায় এসেছেন। এর মধ্যে ৭৩ জন বাংলাদেশি, ১৩ জন ভারতীয় ও দু’জন ইটালিয়ান নাগরিক। বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী সংখ্যা দিন দিন কমছে।
এখন অব্দি সবচেয়ে বেশি যাত্রী হয়েছিল কবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর প্রথম দিকে সর্বোচ্চ ২৭৫ জন যাত্রী হয়েছিল।
রাশেদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, গত বৃহস্পতিবার এ ট্রেনে কলকাতায় গিয়েছিলাম। তখনও যাত্রী কম ছিলো। একটি বগিও সম্পূর্ণ ভরেনি। আসার সময়ও দেখি একই অবস্থা।
আসাদুজ্জামান নামে এক যাত্রী বলেন, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যান। যার বড় একটি অংশ খুলনাঞ্চলের মানুষ। অথচ ট্রেনের যাত্রী সংকট।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট বুকিং সহকারীরা জানান, বন্ধনের কেবিনে দুই হাজার টাকা আর চেয়ারে দেড় হাজার টাকা ভাড়া। ভাড়া বেশি হওয়ায় এর যাত্রী সংখ্যা কমছে।
এদিকে উদ্বোধনের এক বছর না পেরোতেই যাত্রী সংখ্যা তলানিতে নেমে আসার কারণ হিসেবে ভাড়া বেশি ও ভারতীয় কাস্টমসের হয়রানিকে দায়ী করছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ দু’দেশে মাত্র দু’টি স্টেশনে টিকিট বিক্রি করাকে দায়ী করছেন।
২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। ফলে ৫২ বছর পর খুলনার সঙ্গে কোলকাতার রেল যোগাযোগ শুরু হয়।
এর আগে ৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুইচ টিপে বন্ধন এক্সপ্রেসের পরীক্ষামূলক যাত্রার সূচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এমআরএম/এএ