শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার চরঘোষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছুরিকাঘাতকারী বন্ধুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে নিহত কিশোরের স্বজনরা।
নিহত কিশোর হামিম হোসেন চরঘোষপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। ছুরিকাঘাতকারী বন্ধুর নাম অনিক হোসেন (২০)। সে একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। আহত ওয়াজেদ ওই গ্রামের আজমত আলীর ছেলে।
পাবনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপারেশন মো. জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে বন্ধুরা মিলে ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠে যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে অনিক হোসেনকে খেলায় নেওয়া হবে না বলে জানায় অন্য বন্ধুরা।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অনিক বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে হামিমকে আঘাত করে। এ সময় তাকে বাধা দিতে গেলে ওয়াজেদ নামের আরেক বন্ধুকেও ছুরিকাঘাত করে অনিক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক হামিমকে মৃত ঘোষণা করেন। ফের যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, হামিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজনরা ছুরিকাঘাতকারী অনিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
আরএ