রোববার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
এর আগে অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী।
শিক্ষকদের নির্দেশে চলা এ আন্দোলনে কখনও অনশন আবার কখনও বিক্ষোভের কথা বলে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলন করা এসব শিক্ষার্থীর সবাই একাদশ শ্রেণির। তাদের সঙ্গে নেই অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, একাদশ শ্রেণির এসব শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করলেও অন্যদের সব পরীক্ষা-ক্লাস চলছে নির্ধারিত সময়েই।
জানা গেছে, আন্দোলনরত এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয় কিছু বহিরাগত। যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনে উসকানিদাতা। তারাই মূলত কোমলমতি এ শিক্ষার্থীদের উসকে দেয়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি। আমাদের শিক্ষক আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছে, তা যৌক্তিক।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হও। প্রয়োজন হলে আমরাও তোমাদের সঙ্গে আন্দোলন করবো।
এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের পানি পান করান।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্ষার্থী প্রমি, লামিয়া ও মৃত্তিকার নেতৃত্বে ওই একদল শিক্ষার্থী দুই দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে ছিল- মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষক হাসনা হেনাকে মুক্তি দেওয়া।
বাংলাদেশ সয়ম: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
ইএআর/টিএ