‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে রোববার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। টিআইবি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা এখনো ব্যর্থ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। আমাদের আগে রয়েছে শুধু আফগানিস্তান। বাকি দেশগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। এছাড়া দেশের প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ব্যাংক লুটকারীদের উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদকের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্ত নেই। এসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে জানিয়ে তা বাতিলে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধন থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে ১০ দফা সুপারিশ করে টিআইবি। দফাগুলো হলো-আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকা এবং কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তার সুনির্দিষ্ট রুপরেখা, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব কমাতে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব পর্যবেক্ষণ করা, সরকারিখাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ এর বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল করা, ঋণ খেলাপিতে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও জালিয়াতি এবং বেসরকারি ব্যাংকের নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পেশাদার উৎকর্ষ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমন্বিত ও পরিপূরক কৌশল নেওয়া, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও সদস্যদের নিয়োগে যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া, তথ্য অধিকার আইনে ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং আইনের বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তথ্য প্রকাশকারী এবং তথ্য চাহিদাকারী উভয় ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/