রোববার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়- খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় নভেম্বর মাসে ১টি চুরি, ১টি খুন, অস্ত্র আইন ২টি, ধর্ষণ ১টি, অপহরণ ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৬টি, মাদকদ্রব্য ১২৯টি এবং অন্যান্য ৫২টিসহ মোট ১৯৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। আগের মাস অক্টোবরে এ সংখ্যা ছিলো ২১৫টি। অর্থাৎ নভেম্বরে এ সংক্রান্ত মামলা কমেছে ২১টি।
এছাড়া মহানগরীর আটটি থানায় নভেম্বর মাসে রাহাজানি ১টি, চুরি ১৪টি, খুন ১টি, ধর্ষণ ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৮টি, মাদকদ্রব্য ১৬১টি এবং অন্যান্য আইনে ৩২টিসহ মোট ২১৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত অক্টোবরে এ সংখ্যা ছিল ২৪৬টি। সে হিসেবে নভেম্বরে এ সংক্রান্ত মামলা কমেছে ২৭টি।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল শোডাউন করতে পারবে না। প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনী সব আচারণবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, খুলনা-২ আসনে প্রথমবারের মতো সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। জনসচেতনতার লক্ষ্যে এরইমধ্যে ইভিএম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১৫৭টি কেন্দ্রেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে এবং তা নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত চলবে।
তিনি কমিটির সবাইকে ইভিএম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনের আগে তাবলীগের কোনো ধরনের আয়োজন করা যাবে না।
পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি নির্বাচনী সেল খোলা হয়েছে।
সভায় পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বিজিবি অধিকায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার, কেএমপি ও র্যাব প্রতিনিধিসহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস