রোববার (০৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জোটের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, গণসঙ্গীত শিল্পী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ্।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেড় শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের আড়াই হাজার শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এবারের উৎসবে। ১৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবারের উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা। এদিন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মঞ্চের অনুষ্ঠান চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ও প্রয়াত সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার নামাঙ্কিত উত্তরার মঞ্চে। ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানগুলো একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুন ও মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী নামাঙ্কিত ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ, রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ মঞ্চ, কবি বেলাল চৌধুরী ও আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিতের নামাঙ্কিত মিরপুর মঞ্চে।
মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি ও মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার নামাঙ্কিত দনিয়া মঞ্চের আয়োজন চলবে ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক মঞ্চের আয়োজন।
প্রতিটি মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল চারটায়। এছাড়াও ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শহীদ মিনার থেকে বের করা হবে বিজয় শোভাযাত্রা। এবারের উৎসবের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের প্রতি সরাসরি সমর্থন জানিয়েছে জোট।
উৎসবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সরাসরি আওয়ামী লীগকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে দু’টি জোট অংশ নিচ্ছে। এক পক্ষে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আর অপর পক্ষে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে পুনর্বাসিত করতে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এমন প্রেক্ষিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ১৪ দলকে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পক্ষে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। যার অংশ হিসেবে ১৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সঙ্গে যুথবদ্ধভাবে ১৪ দলের বিজয় মঞ্চ অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
জাতীয় জাদুঘরের সামনে ১৬ ডিসেম্বর এ বিজয় মঞ্চের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ মঞ্চ থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি প্রতিদিন বিশিষ্টজনরা আলোচনা কিংবা বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন বলেও এসময় জানান তিনি।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে আমরা প্রত্যাখান করছি। আমরা যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধী কোন শক্তিকে সংসদে দেখতে চাই না। এজন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শুভ শক্তির পক্ষে দাঁড়াবো। ১৪ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সম্মিলিতভাবে কাজ জোটের নেতৃত্বাধীন সংস্কৃতিকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ