মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দাদপুরের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন নোয়ান্নই ইউনিয়নের প্রেমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ জহির মেম্বার দাদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য।
জহিরের ভাগিনা মিঠু বাংলানিউজকে জানান, তার মামা জহিরের সঙ্গে একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান শিপনের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে শিপন ও তার সহযোগীরা জহিরকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। মঙ্গলবার দুপুরে জহির মেম্বার নিজ বাড়ি থেকে জেলা শহর মাইজদীর দিকে যাচ্ছিলেন। নোয়ান্নই ইউনিয়নের প্রেমনগর এলাকায় পৌঁছলে শিপন ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে জহিরকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তারা জহিরের মাথায় কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জহিরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে জহিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মিঠু।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম বাংলানিউজকে বলেন, জহিরের মাথায় দু’টি গুলি লেগেছে। তার শরীরে অনেকগুলো কোপের চিহ্ন রয়েছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮/আপডেট সময়: ১৮০০ ঘণ্টা
এসআই/জিপি