মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় পাট ও পাটশিল্প রক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘পাট খাতের বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা একথা বলেন।
পাট ও পাটশিল্প রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন বলেন, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত যেসব আইন রয়েছে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ২১৫টি পাটকল রয়েছে। তার মধ্যে ৫১টি বন্ধ। বর্তমানে দেশে ৬১ টন পাট ব্যবহার করা হয়, রফতানি করা হয় ১৪ টন। কিন্তু তারপরও এই খাতটির এতো খারাপ অবস্থা। পাটশিল্প কিন্তু ধ্বংস হয়নি। তবে এই শিল্পের বৃহত্তম অংশ যেটা সরকারের অধীনে ছিল তার বিপর্যয় ঘটেছে।
অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ-এর পরিচালক আসগর আলী সাবরী বলেন, বর্তমানে পাট খাতের সমস্যা দূরীকরণে জুট প্যাকেজিং আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পাটকলগুলোর লোকসান কমাতে কলগুলোর লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি দক্ষ বাজারজাত ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মধ্যসত্বভোগীদের যোগসাজসে নির্ধারিত মৌসুমে কাঁচা পাট কিনতে পারেন না সংশ্লিষ্টরা। পাট মৌসুম শেষে দ্বিগুণ দামে পাট কেনেন তারা। এতে পাটকলগুলো ক্রামগত লোকসান গুণছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, বর্তমানে পাটকলগুলো ৬০-৬৫ হাজার টাকায় কাঁচা পাট কেনে এবং বিক্রি করে ৮৫ হাজার টাকায়। আর এর সঙ্গে উৎপাদন ব্যয় যোগ করলে কোনো লাভই থাকে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার রেজোয়ান সিদ্দিকী।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে পাট শিল্পের উন্নয়নে বেশকিছু সুপারিশমালা উত্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এমএএম/আরআর