সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে তাদের আটকের পর বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কলমাকান্দা থানায় সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ। এ সময় জানানো হয়, অভিযানে ছিনতাই হওয়া পিকআপ ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- কলমাকান্দা উপজেলার রায়হান মিয়া, ফেনী জেলার মাঈন উদ্দিন ও কিশোরগঞ্জের শহিদুল ইসলাম। আর পিকআপ ভ্যানের নিহত চালক নাঈমের বাড়ি গাজীপুরে। তার বাবার নাম মো. নাছির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কলমাকান্দা উপজেলার বামনী এলাকা থেকে চালক নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নাঈমের পরিচয় পাওয়া যায়। এরপরই গোপন সূত্রের ভিত্তিতে মধ্যনগরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পিকআপ ভাড়ার কথা বলে গত ৯ ডিসেম্বর নাঈমকে গাজীপুর থেকে কলমাকান্দায় নিয়ে যায় ওই তিনব্যক্তি। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তার গলায় কোমরের বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরে বুধবার বামনী থেকে নিহত নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে কলমাকান্দায় ছুটে যান পরিবারের সদস্যরাও। এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে নিহত ব্যক্তির বাবা নাছির বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা করেছেন।
নেত্রকোণার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) শাহ শিবলী সাদিক বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার তিনব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে নাঈমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এমএ/