শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর ৩টার দিকে টেকনাফ সদরের ছোট হাবিব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত ইউসুফ জালাল বাহাদুর (৩২) ওই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত ইউসুফ জালাল বাহাদুর এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক চোরাচালানসহ অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরে ইউসুফের স্বীকারোক্তি মতে শুক্রবার ভোরে ছোট হাবিব পাড়ায় তার গড়ে তোলা আস্তানায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউসুফকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০টি দেশীয় অস্ত্র, একটি বিদেশি অস্ত্র ও ৪০ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।
ওসি জানান, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এসবি/আরআর