শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে পশ্চিম মালিবাগের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে ৮/এ নম্বর জিএম প্লাজার পাঁচ তলার সিঁড়ির ফাঁকা জায়গা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় রশিদকে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রশিদ মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মৃত কেএম জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পশ্চিম মালিবাগের ওই বাসার পাঁচ তলায় স্ত্রী রুবিনা ও এক সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। নিজের সেই বাসায়ই ক্রেস্টসহ এ জাতীয় সামগ্রী বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন।
রশিদের বড়ভাই মোর্তুজা অালী রনি বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, রশিদ বাসায়ই ব্যবসা করতেন। আর তার নিজের (রনি) ইট-বালুর ব্যবসা আছে এবং গুলশানে শোরুমও অাছে। এই ব্যবসার সুবাদে ব্যবসায়ী ফরহাদ, অাসাদ, ফরিদ, সুমন ও তাজুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। ব্যবসায়িক লেনদেনও হয়। কিন্তু এ লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ চলছিল।
তারই জেরেই শুক্রবার তারা বাসায় ঢুকে রনিকে মারধর করতে শুরু করেন। মারধর করতে থাকেন তার ছোটভাই রশিদকেও। এক পর্যায়ে পাঁচ তলার সিঁড়ির ফাঁকা জায়গা দিয়ে রশিদকে নিচে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন রনি।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/