গুরুত্ব আহত অবস্থায় শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুমান মিয়াকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ওই ইউনিয়নের সানাবই গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক শেখ কামাল বাংলানিউজকে জানান, একই গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে রহমত আলীর সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল রুমান মিয়ার। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে রুমানের স্ত্রীকে অপহরণ করে ডুমরা এলাকায় নিয়ে নির্যাতন চালায় রহমত। স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য দলবল নিয়ে ডুমরায় গেলে রুমানকে বেধড়ক মারধর করে রহমত। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চেয়ারম্যান আরো জানান, নিহত রুমান এবং রহমত আলী এলাকার চিহ্নিত চোর। এ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হয়তো তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। উভয়ের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে রুমান একবার গ্রেফতারও হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানান, নিহতের যুবকের বুকে দু'টি ফিকলের আঘাত রয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির মামলা রয়েছে কি না জানতে চাইলে ওসি জানান, এ ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদশে সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
আরএ