শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বারিধারা ডিওএইচএস এর ৩ নম্বর রোডের ২৪০ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি পেনড্রাইভ, জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত লিফলেট ও বই এবং সরকারবিরোধী পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেনেন্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, বারিধারায় আসামি সাইমুমের বাসায় বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা যেসব পোস্টার পাওয়া গেছে, ঠিক একই ধরনের পোস্টার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও দেখা গেছে। এসব পোস্টার তৈরির পরিকল্পনাকারী সাইমুম। এ কাজে অন্যান্য যারা জড়িত আছে তাদেরও গ্রেফতারে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
আটক সাইমুমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর অধিনায়ক জানান, আটক সাইমুম নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবি থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে বর্তমানে বেলি গ্রুপ নামে একটি কোম্পানিতে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছেন।
জঙ্গী সংগঠনে তার গ্রুপের তাইসির, সিয়াম, আসিফ, আরাফাত, রিয়াদ ও নূরসহ আরোও কয়েকজন রয়েছে। প্রায় সময় তারা সবাই একত্রিত হয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে চাঙ্গা করার জন্য গুলশান আজাদ মসজিদ, মোহাম্মদপুরের আল-আমিন মসজিদে ও তাইসিরের বাসায় হালাকায় (আলোচনা সভা) বসতেন বলেও জানান র্যাব অধিনায়ক।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুমের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, পলাতক আসামি এহসান জামিল রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের আমির। তিনি ২০০৭-৮ সালে মোহাম্মপুরের লিঙ্কস কোচিংয়ে চাকরি করতেন। তাদের গ্রুপের অপর এক সদস্য সিয়াম ২০১৪ সালে তাকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ দেখাতেন। সাইমুম বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই ও ভিডিও দেখে এতে অনুপ্রাণিত হয়ে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
পিএম/এমজেএফ