শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইলিমপুর গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে তার মাথার খুলি, দাঁত, পায়ের হাড়, চুল, চুলের কাঁটা এবং কাপড়-চোপর উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) গোলাম দস্তগীর আহমেদসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে এগুলো উদ্ধার করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের একরাম উল্লার ছেলে জয়ের সাথে বিয়ে হয় সুজানার। প্রায় ৫ বছর পূর্বে তাদের ছাড়াছাড়ি হলে জয় সৌদি আরবে চলে যান। কিছুদিন পর একমাত্র মেয়েকে রেখে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে চলে যান সুজানাও। এরপর চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশে ফেরেন তিনি। পরে ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সৈয়দপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন সুজানা। ওইদিনই নিখোঁজের পিতা নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এক পর্যায়ে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় লোকজন ইলিমপুর গ্রামের ধান ক্ষেতে একটি মাথার খুলি দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মাথার খুলিসহ শরীরের উল্লেখিত অংশগুলো উদ্ধার করে। পরে সুজানার ভাই এসে কাপড়-চোপর এবং চুলের কাঁটা দেখে তার বোনের মরদেহ শনাক্ত করেন। নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন আগে চুলের কাঁটাটি মেলা থেকে বোনের জন্য কিনেছিলেন বলেও জানান তনি।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সাহিন মিয়াসহ ৪ জনকে আটক করে। আটককৃতরাই সুজানাকে গণধর্ষণ করে মরদেহে লুকিয়ে রাখে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর খুন করে মরদেহটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর শেয়াল মরদেহের বিভিন্ন অংশ টেনে বের করেছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
এমজেএফ