এসময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা সম্মতি দিলে এটা পাস হবে। পরে মুক্তিযোদ্ধারা হাত তুলে সম্মতি দেন।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রস্তাব করেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) বরাবরের মতো এই সংবর্ধনা আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই সংর্বধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বিমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মাস শেষে যে সম্মানী পেতেন তা আমার বাবা মেয়র মোহাম্মদ হানিফের হাতে তুলে দিতেন। বলতেন, হানিফ এগুলো এক-দুই-তিন টাকা করে সারাদেশে আমার নেতাকর্মীদের হাতে পৌঁছে দিও। তারা আমার দল পরিচালনা করবে।
বাবার স্মৃতিচারণ করে মেয়র খোকন বলেন, আমি তখন কিশোর ছিলাম। কিন্তু অবুঝ ছিলাম না। যারা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত তুলে দিয়েছিল- তাদের বাড়িতে, গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের একজন সদস্য হিসেবে লজ্জায় আমার বুক ফেটে যায়।
খোকন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। জুরাইন কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের জন্য কমিউনিটি সেন্টারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সিটি করপোরেশনের সব সেবা সহজ করে দেওয়া হবে। আমাদের এই উদ্যোগ ন্যূনতমও না, সামান্যও না, খুবই নগণ্য। আপনারা আরও বড়বড় কিছু প্রস্তাব নিয়ে আসেন, যাতে আমরা সেগুলো করে দিয়ে ধন্য হতে পারি।
মেয়র বলেন, আগে এই শহরে প্রতিঘণ্টায় লোডশেডিং হতো। তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে আজ ১৮ হাজারে উন্নিত হয়েছে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
সাঈদ খোকন নৌকায় ভোট চেয়ে বলেন, আগামী ৩০ তারিখ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিজয়ের দিন। ওইদিন সারাদিন শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিয়ে তাকে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী করুন। আমরা যদি আরও একটি বিজয় লাভ করতে পারি বিশ্বের বুকে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর পথ সুগম হবে।
সাঈদ খোকন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুই সিটির সড়ক বাতি একযোগে জ্বলবে। আমরা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান করে নিয়েছি। আমাদের দায়িত্ববোধ বেড়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম প্রমুখ। সংবর্ধনায় সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
এসএম/জেডএস