সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা শেষে ডেকে নিয়ে ভাস্করের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবির এ কথা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটাই হচ্ছে তাদের আসল চরিত্র। যেটা এখন বের হয়ে আসছে। সাংবাদিকদের সামান্য প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে হুমকি-ধমকি দেয়; তারা কী বাক-স্বাধীনতা দেবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
‘তাদের এমন আচরণ এতদিন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জানা ছিলো, এখন সারাদেশের মানুষ জানলো,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ব্যাপারে ভয়-ভীতি পাবার কোনো কারণ নেই বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা একটা প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়া জানায় তারা কিভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে তা তো বোঝাই যাচ্ছে।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে জামায়াত নিয়ে প্রশ্ন করেন টেলিভিশন সাংবাদিকতরা।
জবাবে ড. কামাল বলেন, শহীদ মিনারে (স্মৃতিসৌধে) এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না।
এরপরও সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করতে থাকেন। একজন বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। তারপরও তারা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচন করছে। এ সময় রেগে গিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বলো। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? জেনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা করো তোমরা। আশ্চর্য!’
এ পর্যায়ে আরেকজন সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন। আর তখনই ক্ষেপে যান ড. কামাল। ওই সাংবাদিককে ধমক দিয়ে তিনি বলেন, ‘শহীদদের কথা চিন্তা করো। হে হে হে হে করছো! শহীদদের কথা চিন্তা করো। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ। ’
অবশ্য এরপরদিন গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে ওইদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়:১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এমইউএম/এমএ