বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা কুলা প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন। কোনো রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ছাড়াই নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠে ঘুণে ধরা সমাজকে বদলে দেওয়ার নানা প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন তিনি।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় মহেশখালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করার পর এখন তার নির্বাচনী এলাকায় বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত মহেশখালীর মহোয়ানক, কালারমারছড়া ও মাতারবাড়ীতে গণসংযোগ করেন শাহেদ সরওয়ার।
মহাজোটের প্রধান শরিক দল বিকল্পধারার মনোনীত প্রার্থী মাতারবাড়ীতে একটি পথসভায় বলেন, আমি দেশসেবার মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলাম। সেনাবাহিনীতে সততা,দক্ষতা মেধা ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সুনামের সাথে চাকরি শেষে এখন এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, গরিব-মেহনতি, নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকার জন্য, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মানুষের জন্য নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাকি সময় আপনাদের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। আমি ঘুণে ধরা সমাজকে বদলে দিয়ে সবার মুখে হাসি ফোটাতে চাই। আশাকরি কুলা প্রতীকে নিজের মূল্যবান ভোটটি দিয়ে এলাকার উন্নয়নে আপনিও অংশীদার হবেন।
তিনি বলেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার আমূল পরিবর্তন এবং কুতুবদিয়ার দীর্ঘদিনের অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোকিত করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। এছাড়াও কুতুবদিয়া ও মহেশখালীবাসীর প্রধান দুঃখ সামুদ্রিক জোয়ার-ভাটা থেকে মুক্তিদানের জন্য স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং এ দুই উপজেলায় কৃষিশিল্পের বিকাশ বিশেষ করে লবণ, পান ও মৎস্যচাষে ইতিবাচক বিপ্লব ঘটানো হবে।
গণসংযোগের সময় উপস্থিত ছিলেন মেজর (অব.) লোকমান সরওয়ার, সাংবাদিক আমিনুল হক, সমাজসেবক অছিয়র রহমান, আহসান উল্লাহ ও নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রার্থীর বড় ভাই মেজর (অব.) লোকমান সরওয়ার জানান, নির্বাচনী মাঠে আমরা একেবারেই নতুন। আমাদের এলাকায় আমাদের তৈরি করা কোনো রাজনৈতিক প্লাটফর্ম নেই। কিন্তু অামাদের সঙ্গে আছে সাধারণ ভোটারেরা। সাধারণ ভোটারদের নিয়েই বর্তমান এ সমাজের সব অসংগতি আমরা দূর করতে চাই।
তিনি বলেন,মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাধারণ ভোটারেরা বুঝে গেছেন কাকে ভোট দিলে মানুষ নিরাপদ থাকবে, এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হবে। আশাকরি আমরা বিজয়ী হবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসবি/টিসি