মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্লবীতে অবস্থিত ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় এ অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
আয়োজকরা জানান, প্রতিটি শিশু ৩টি সমান কিস্তিতে ১৮ মাসে ৩৬ হাজার টাকা পাবে।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিশুকে অবশ্যই কেস ম্যানেজমেন্টের আওতায় আসতে হবে। সুবিধাভোগী শিশুর বয়স অবশ্যই ৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। গৃহহীন পথশিশু অথবা বিপদজনক শ্রম, শিশু বিকাশের পরিপন্থি কাজে নিয়োজিত। এছাড়া পরিত্যাক্ত, নাম পরিচয়হীন, বৈধ অভিভাবকহীন শিশু এই সুবিধা পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে এসব কাজ সম্পাদন করে যাচ্ছি। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল তার প্রমাণ। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম বহাল রাখতে আওয়ামী লীগে সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টানা ওয়েসলান্ড, চাইল্ড সেনসেটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ-২ প্রকল্প পরিচালক ডা. আশরাফি আহমেদ প্রমুখ।
ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টানা ওয়েসলান্ড তার বক্তব্যে বলেন, শিশুদের উন্নয়ন সবচেয়ে জরুরি। কেন না তারাই যেকোন জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই ইউনিসেফ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে জরুরি আমাদের দেওয়া শর্তগুলো মানতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এমএএম/আরআইএস/