মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি সদর দফতরে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি এমওইউ স্বাক্ষর করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার এট হোম লিমিটেড।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন উপ-কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও ফাইবার এট হোম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক সিদ্দিকী।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহপুর থেকে কাজলা, মিরপুর, গাবতলী থেকে হানিফ ফ্লাইওভার ও কুড়িল বিশ্বরোডের পুরো অংশ সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে আব্দুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে বাকী অংশগুলো সিসি ক্যামেরা সার্ভিলেন্সভুক্ত করা হবে।
সিসি ক্যামেরার আওতাধীন আব্দুল্লাহপুর থেকে কাজলা পর্যন্ত ৩৩টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ৩৮টি লোকেশনে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮৮টি ক্যামেরা বসানো হবে। তবে এতে যদি আওতাধীন এলাকার রাস্তা ভালোভাবে দৃশ্যমান না হয় তাহলে আরও ক্যামেরা বসানো হবে।
আগামী ৩ বছরের জন্য করা এ চুক্তিতে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে সব প্রকার ক্যামেরা ইনস্ট্রলমেন্ট, সার্ভিসিং ও রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ ছাড়াই ফাইবার এট হোম লিমিটেড করবে।
সিসি ক্যামেরার আওতাধীন এলাকা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের এ প্রকল্পের আওতা ছোট হলেও একটি অনুকরণীয় বিষয়। এর ফলে শুধু ট্রাফিক যানজট নয়, ব্যক্তি, বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক ও সামাজিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় হবে।
জনবহুল এ নগরীর সম্মানিত নগরবাসীর নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে কাজলা পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা বসানো হলে এ এলাকায় যানজট কম হবে। সেসঙ্গে ট্র্যাডিশনাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যক্তি ও বাণিজ্যিক নিরাপত্তায় এ সিসি ক্যামেরা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
পিএম/আরবি/