রোববার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বৃষ্টিতে মিরপুরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে মেট্রো রেল প্রকল্পের কারণে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ১০ নম্বর হয়ে আগারগাঁও পর্যন্ত সড়ক ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন চলাফেরা হয়ে ওঠেছে দুর্বিষহ।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে খানাখন্দে ভরা এ সড়কের উভয় পাশে দেখা যায়, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী সাধারণ মানুষ।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা না থাকলেও খানাখন্দে জমে থাকা পানির কারণে দুর্ঘটনা আতঙ্ক রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে, সব থেকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে মোটরসাইকেল চালক ও রিকশা যাত্রীদের।
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী কাশফিয়া শ্রাবন্তী শান্তা। মিরপুর ১২নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রায় পিছলে পড়েই যাচ্ছিলো। শান্তা বলে, মেট্রো রেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এ সড়কের বেহাল দশা। তবে বর্ষা থেমে যাওয়ায় এ কয়দিন স্বস্তিতে ছিলাম। কিন্তু গতকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। কাদা-পানির ভয় নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বেহাল দশার কারণে এ সড়ক ব্যবহারকারীদের দীর্ঘক্ষণ জ্যামে থাকতে হয় জানায় শান্তা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জামান মিথিলা বলেন, প্রতিদিনই এ সড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেতে হয়। ভার্সিটির বাস পেলে কিছুটা আরামে যাওয়া যায়। তবে লোকাল বাসে গেলে দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকতে হয়। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রীতিমতো রোলার কোস্টারের মতো বাস চলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরপুর-১০ নম্বরে মেট্রোরেল প্রকল্পের এক প্রকৌশলী বলেন, মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজের জন্য আমাদের প্রচুর মাটি খুরতে হচ্ছে। আর সেই মাটি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে সড়ক পিচ্ছিল করে তুলছে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় খানাখন্দ আছে। তবে, আমরা চেষ্টা করছি সড়কের খানাখন্দগুলো দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তোলার। যখনই আমরা কোথাও কোনো খানাখন্দ দেখছি, সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে দিচ্ছি।
সড়কের এ বেহাল দশা নিয়ে ঢাকা-১৬ আসনের (পল্লবী-রূপনগর) সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, মেট্রোরেলের কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এটা সাময়িক। যেখানেই খানাখন্দ দেখছি, আমরা দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএইচএস/ওএইচ/