বরাবরের মতো এবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম তথা আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তাবাদী ফোরাম বিএনপি সমর্থিত দু’টি প্যানেলে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে এ দুই প্যানেলে যারা স্থান পাননি তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে একটানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পর্ব চলে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন মো. শাহ আলমগীর। এবছর ১ হাজার ২১২টি ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৭২টি ভোট কাস্ট হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি দু'বছর মেয়াদের (২০১৯-২০২০) এ নির্বাচনে এবার ১৭ সদস্যের ব্যবস্থাপনা কমিটির বিপরীতে ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্য নির্বাচিতরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতির একটি পদে বাসসের মো. ওমর ফারুক ৪৪২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন ৪১৪। সহ-সভাপতির একটি পদে বাংলাদেশের খবরের আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া ৫৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল হাসান খান পেয়েছেন ৪৪৪ ভোট।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত দুজন হলেন দৈনিক সমকালের শাহেদ চৌধুরী ও দৈনিক ইত্তেফাকের মাইনুল আলম। শাহেদ চৌধুরী ৫৯৯ ভোট ও মাইনুল আলম পান ৫৫৪ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে ৫৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের শ্যামল দত্ত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনাক হোসেন পেয়েছেন ৪০৪ ভোট।
সদস্য পদে নির্বাচিত কুদ্দুস আফ্রাদ (৫১৫), শামসুদ্দীন আহমেদ চারু (৫০৭), রেজওয়ানুল হক রাজা (৪৮৪), শাহনাজ বেগম (ডেইলি অবজারভার) (৪৬২),মো. সানাউল হক (৪৪২),কল্যাণ সাহা (৪৩৯), জাহিদুজ্জামান ফারুক (৪২৯),সৈয়দ আবদাল আহমদ (৪১৭), বখতিয়ার রানা (৪০১), হাসান আরেফিন (৩৯১) ভোট পেয়ে সদস্য পদে নির্বাচিত।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আওয়ামী ফোরাম থেকে পূর্ণ প্যানেল নির্বাচিত। শুধুমাত্র সদস্য পদে তিনজন জাতীয়বাদী ফোরাম থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএম/এসএইচ