মাগুরা মেটানিটি রোডে শীতবস্ত্র হাট নামের একটি বিপণিবিতানগুলো শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। সাধ্য অনুয়াযী মার্কেট কিংবা ফুটপাত থেকে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের শীতের পোশাকটি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের পোশাক কেনাকাটা করতে বিপণিবিতানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় আছে সাধারণ জনগণের। তবে শীতের তীব্রতা যতো বাড়াবে, তার সঙ্গে বাড়বে কেনাকাটাও।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সুপারমার্কেট, বেবী প্লিজা বিপণিবিতানগুলো এবং কাজী টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, নতুন ফ্যাশনের শীতবস্ত্রের সমাহার ঘটিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা দোকান সাজিয়েছেন ফ্যাশন-সচেতন তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে।
এছাড়া ছেলেদের শীতের পোশাকের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার। গোল গলা, ভি-গলা, চিকন কলারের এসব সোয়েটারে থাকছে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। সামনের দিকে চেইন বা বোতাম আছে কিছু পোশাকে। নানা রঙের জ্যাকেটে খুঁজে পাওয়া যাবে বৈচিত্র্য। চামড়া, রেকসিন অথবা উলের তৈরি এসব জ্যাকেট। ডেনিম বা গ্যাবার্ডিন কাপড়ের ব্লেজারও আছে। আছে তরুণীদের পছন্দ লম্বা ঝুলের পাতলা সোয়েটারও। গলাবন্ধ মাফলার ও স্কার্ফগুলো বেশ ফেশনেবল। এছাড়াও আছে মেয়েদের উলেন পাজামা।
বাজারে শিশুদের জন্যও এসেছে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক। এগুলোর মধ্যে আছে ছয়মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের উলেন পোশাক। আর পাঁচ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের জন্য সোয়েটার, হুডি ও জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে পোশাকের দোকানগুলোতে।
তাই এই মার্কেটে ভিড়ও বেশি। এখানে ছেলেদের ম্যাগিহাতা সোয়েটার পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। ফুলহাতা সোয়েটার ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। ছেলে ও মেয়েদের হুডি প্রতিটি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। ছেলেদের কোট প্রতিটি ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এছাড়া ছেলে ও মেয়েদের চাদর ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। স্কার্ফ ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। মাফলার প্রতিটি ৭০ থেকে ৩০০ টাকা। মেয়েদের উলেন পাজামা ১৫০ থেকে ৬০০ টাকা। শীতের টুপি প্রতিটির মূল্য ৫০ থেকে ২৫০ টাকা। হাতমোজার মূল্য ৯০ থেকে ২৫০ টাকা।
বৃষ্টির পর বিকেলে শীতবস্ত্র হাটে পোশাক কিনতে আসা মাসুদ পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, শীতটা বেশ ভালোভাবেই নেমে এসেছে। তাই চলে এলাম শীতের পোশাক কিনতে। শীতবস্ত্র হাটে সব ধরনের কাপড় পাওয়া যায় এবং এখানে দামও অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় কম, তাই শীত বস্ত্র হাটে আসা হয়।
এ প্রসঙ্গে শীতবস্ত্র হাটে কাপড়ব্যবসায়ী আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এই মার্কেটে কাপড়ের মূল্য অন্যান্যের তুলনায় কম। তাই কম আয়ের মানুষের চাপ এখানেই বেশি আসে। বেচাবিক্রিও অনেক ভালো হয়। এছাড়া শীত যতো বাড়বে, বিক্রি ততো বাড়বে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এএটি