শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে ২০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগছে তিন থেকে চার ঘণ্টা।
এদিকে যানজটের কবল থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প পথে নলকা মোড় থেকে সিরাজগঞ্জ শহর দিয়ে মুলিবাড়ি সংযোগ সড়ক হয়ে মহাসড়কে যাচ্ছে শত শত যানবাহন।
পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকে সেতুর একটি লেন বন্ধ থাকার কারণে উভয় পাশের অন্তত ১৪ কিলোমিটার থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর থেকে যানজট বাড়তে থাকে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর-ঢাকা রুটের কড্ডার মোড় ১৪ কিলোমিটার ও হাটিকুমরুল-বগুড়া রুটের সাহেবগঞ্জ বাজার আট কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে যানজট। পরে যানজট থেকে রক্ষা পেতে অনেক গাড়ি শহর হয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম জানান, কড্ডার মোড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত যানজট রয়েছে। তবে সেতুর গোলচত্বর এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বাংলানিউজকে জানান, নলকা সেতুর মেরামত কাজের জন্য একটি লেনে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ফলে বিকেল থেকেই যানজট দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন রুটের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এসআই