সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ডাকযোগে ওই চিঠিটি জেলা প্রশাসকের দফতরে এসে পৌঁছায়।
চিঠি দিয়ে হুমকির বিষয়টি স্বীকার করে রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেননি।
চিঠির শেষাংশে সাধারণত প্রেরকের নাম থাকে, তবে এ চিঠিতে কারও নাম উল্লেখ নেই।
ডাকযোগে পাঠানো চিঠির প্রথম প্যারায় লেখা রয়েছে, ‘যদি দেশকে বাঁচাতে চান, মানুষকে বাঁচাতে চান, তাহলে কোন রূপ চালাকি বা পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করবেন না। আর এর যদি কোন ব্যতিক্রম হয় বা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করেন, খোদার কসম করে বলছি দেশ শ্মশানে পরিণত হবে। আপনাদের কেউ বাঁচাতে পারবেন না। জনগণই আপনাদের তুলাধুনা করবে। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। দেশে কোন বৈঈমান মীরজাফর থাকতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ হবে, মাইন্ড ইট। ’
চিঠির দ্বিতীয় প্যারায় লেখা রয়েছে, ‘এখন দেখছি আপনারা বড় রাজাকার। এই দশ বছর হাসিনা আপনাদের লালন-পালন করে রেখেছে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বৈঈমানী করার জন্য তাই না? জনগণ তা হতে দেবে না। এর খেসারত আপনাদের পেতেই হবে। কথাটা মনে রাখবেন। ৭১ এর যুদ্ধ তো দেখেন নাই, তাহলে কেমন করে বুঝবেন স্বজন হারানোর জ্বালা। প্রশাসক সাহেব আপনারও ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের কথা ভাবুন। স্বজন হারার জ্বালা যে কত নির্মম, কত ভয়াবহ তা ৩০ ডিসেম্বরের পর হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আপনাদের বুঝবার শক্তি দেন। দেশ থাকবে আপনি থাকবেন না, আমিও থাকবো না, তাহলে কেন পরবর্তী প্রজন্মের গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকবেন। ’
চিঠির শেষে সর্বনিচে ডান দিকে ‘আল্লাহ হাফেজ ধন্যবাদ’ লিখে শেষ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/