মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ধানের শীষে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরীর পক্ষে সড়কের উপর পথসভা চলছিলো।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রহমান হামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
আহত অবস্থায় সুমন্ত ব্যানার্জীকে উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক শিবলী বলেন, সন্ধ্যার পর হেতিমগঞ্জ বাজারে নির্বাচনী পথসভা চলাকালে এসিল্যান্ড ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গেলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এদিকে, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সিলেট-৬ আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, হেতিমগঞ্জে সংঘটিত হামলার ঘটনার সঙ্গে তার কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়ানো হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে ফয়সল চৌধুরী বলেন, স্থানীয় প্রশাসন শুরু থেকেই সিলেট-৬ আসনে সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আদা-জল খেয়ে মাঠে নামে। প্রতিনিয়তই পুলিশ বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক কর্মীদের হয়রানি, গ্রেফতার ও মারধর করছে। বিএনপি প্রার্থীর টাঙানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জের বইটিকর এলাকায় ধানের শীষের প্রচারে ব্যবহৃত সিনজিচালিত অটোরিকশা আটকিয়ে পুলিশ তা ভাঙচুর করে এবং প্রচারকর্মীকে মারধর করে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয়ভাবে গণসংযোগকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা উস্কানিতে লাঠিপেটা করে। একইভাবে হেতিমগঞ্জ এলাকায় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীর পথসভা শুরু করতে গেলে স্থানীয় পুলিশ মারমুখি অবস্থান নিয়ে রাস্তা খালি করার কথা বললে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮=
এনইউ/আরবি/