এদিকে, প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের অপেক্ষায় দেশবাসী। শঙ্কামুক্ত ভোটের মাঠ নিশ্চিত করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো মহানগরী।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। বাংলামোটর এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশিও করছেন তারা।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি-মোটরসাইকেল তল্লাশি করছে পুলিশ। সন্দেহভাজন লোকজনদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাসহ সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
মগবাজার এলাকায় দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা পুলিশ বাহিনী মাঠে রয়েছি।
ডিএমপি জানায়, ভোটকেন্দ্রসহ নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নজর রয়েছে মহাসড়কেও।
শুক্রবার জুম্মার নামাজকে কেন্দ্র করে নগরীর বায়তুল মোকাররম, কাকরাইল মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ এলাকায় বাড়তি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
বিভিন্ন সড়কে র্যাবের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তারা বিভিন্ন এলাকায় মূল সড়কসহ গলিপথেও সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে সবধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতিও রয়েছে। তারাও বিভিন্ন এলাকায় টহলের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব পালনে তৎপর রয়েছেন।
কুড়িল-আজিমপুর রুটে চলাচলরত দেওয়ান পরিবহন বাসের চালক রাকিব বাংলানিউজকে জানান, অন্যান্য শুক্রবারেও ঢাকার পথ এতো ফাঁকা থাকে না। সাধারণ দিনের তুলনায় যাত্রী খুবই কম। যে কয়েকটি বাস চলছে, সেগুলোও ফাঁকা থাকছে অনেকটা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
পিএম/আরবি/