স্থানীয়রা বলছে, এবারই প্রথম নয়, এর আগে আরও দু’বার আগুন লেগেছে এই ভবনে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালের পর ২০১৮ সালেও অগ্নিকাণ্ড ঘটলো।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বহুতল ভবন হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের নিজস্ব কোনো ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ছিল না। ফলে দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে যায়।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ১৬তলা ভবনটির ১০ম তলায় ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআরএল) কার্যালয় থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ঢাকা) দেবাশীষ বর্ধন বাংলানিউজকে বলেন, অফিসটির সার্ভাররুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি বলেন, আগুন লাগার পর ওই ফ্লোরের ৬ জনকে তাৎক্ষণিক নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। আরও ৬ জন ভেতরেই নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করছিলেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর নিরাপদে তাদের নামিয়ে আনা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজল বাংলানিউজকে বলেন, এবারই প্রথম নয়, এর আগে আরও দু’বার আগুন লেগেছে এই ভবনে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দু’বার আগুন লেগেছিল এবার তৃতীয়বার লাগলো। আগেরবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হয়তো এতো বড় আগুন রোধ করা যেতো।
ভবনটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক অফিস রয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, কারণ ভেতরে কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীসহ অনেক দাহ্য পদার্থ ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ৮০ জন সদস্য কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
এতো বড় ভবন হওয়া স্বত্ত্বেও ভবনটিতে ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুনের বিষয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।
** বিজয়নগরে প্রীতম-জামান টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
** বিজয়নগরে প্রীতম-জামান টাওয়ারে আগুন
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
পিএম/আরবি/