বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার পলাশ উপজেলার দড়িচরের একটি আখ ক্ষেত থেকে এ কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে জালাল ও বদুক নামে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত পারভেজ একই উপজেলার গুচ্ছগ্রাম এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ নানান অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন বলেও জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে বাড়ি থেকে পারভেজ নিখোঁজ হয়। কোথাও সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজ পারভেজের বাবা তাজুল ইসলাম প্রথমে পলাশ থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এরই মধ্যে বাবুসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় পুলিশ।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া থেকে ডাকাত জালাল ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ডৌকারচর থেকে ডাকাত বদুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ওইদিন দুপুরে জেলার পলাশ উপজেলার দড়িচরের একটি আখ ক্ষেত থেকে নিখোঁজ পারভেজের বস্তাবন্দি মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পলাশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ডাকাতির লুট করা টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিজ দলের সদস্যরা পারভেজকে হত্যা করেছে। নিখোঁজ পারভেজের কঙ্কাল উদ্ধার ও ঘাতকদের গ্রেফতারের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে।
গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়া হবে বলেও জানান এসআই মনির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
জিপি