মিরপুরের পল্লবীর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে পূরবী সিনেমা হল পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে সড়ক অবরোধ করে পোশাক খাতের কর্মীরা এ বিক্ষোভ করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন স্থানীয় পাইওনিয়ার গার্মেন্টসের কর্মীরা।
বিক্ষোভ থেকে কর্মীরা জানান, পাইওনিয়ার গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ তাদের সরকার নির্ধারিত নূন্যতম মজুরি দেন না। এছাড়া দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও বেতন-ভাতা বাড়ানো হয় না বলেও অভিযোগ তাদের।
আর ট্রিপল সেভেল গার্মেন্টসের কর্মীরা জানান, তাদের প্রায় দু’মাসের বকেয়া বেতন না দিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয় গার্মেন্টসটি। সকালে কারখানার মেশিন ও সরঞ্জামাদি বের করে নিতে চাইলে তাতে বাধা দেন উত্তেজিত শ্রমিকরা।
তবে শ্রমিকদের এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গার্মেন্টসগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এমনকি তাদের সঙ্গে মালিকপক্ষ আলোচনার জন্য বসতে নারাজ বলেও অভিযোগ করেন তারা।
তবে নিজেকে ‘মালিকপক্ষের লোক’ পরিচয় দিয়ে পাইওনিয়ার গার্মেন্টসের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সরকারি নিয়মনীতি মেনেই গার্মেন্টস চালাই। সবাইকে সরকার ঘোষিত বেতনই দেই। কিন্তু এখন তারা যে বেতন দাবি করছে, তা সরকার ঘোষিত পরিমাণের থেকে বেশি। এ দাবি অযৌক্তিক।
এদিকে, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভের মুখে বন্ধ হয়ে যায় মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে যান চলাচল। ১২ নম্বর হয়ে কালসী সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে পূরবী থেকেই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেসময় পূরবীতে ১০ থেকে ১২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহ আলম। পরে দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচলা স্বাভাবিক হয় ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড ও এর আশপাশের সড়কগুলোতে।
সার্বিক বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আমরা চেষ্টা করছি, মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য।
‘যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় মিরপুর ১২ নম্বর, পল্লবী বাসস্ট্যান্ড এবং পূরবীতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এসএইচএস/আরবি/