গত ২৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত রানার বাবা কৃষক ওমর আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে একটি টেলিভিশন চুরি হয়। পরদিন সকালে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান তুহিন গ্রামের কৃষক ওমর আলীর ছেলে রানাকে চোর সন্দেহে মাঠ থেকে ধরে আনে। পরে শ্রীপুর বাজারের একটি কাঁঠাল গাছে হাত পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেদম মারধর করেন। পরে তাকে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করেন। পুলিশ হরিণাকুণ্ডু থানায় এনে তাকে নিয়ে টিভি উদ্ধারে গেলেও টিভি উদ্ধার করতে পারেনি। পরে পুলিশ রানাকে তার পরিবারের জিম্মায় ফেরত দেয়।
রানা গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ওই নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীনুর রহমান তুহিন বলেন, তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। টিভি চুরি করেছিল তাই স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য একটু মারধর করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদী বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি অমানবিক।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় শাহীনুর রহমান তুহিনসহ তিন/চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
আরএ