শনিবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণধর্ষিত ওই নারীকে দেখতে গিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় নোয়াখালীতে চার সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হলো, জাতির কাছে আমি এ বিচারের ভার দিলাম।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছে। নোয়াখালীতে চার সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে বলে জানান ফখরুল।
এসময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু, বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা। পরে ৩১ জানুয়ারি তার স্বামী বাদী এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
আরএ