ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বর্তমান মন্ত্রিসভার মেয়াদ কতদিন?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৯
বর্তমান মন্ত্রিসভার মেয়াদ কতদিন? বর্তমান মন্ত্রিসভার বৈঠকের ফাইল ছবি

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গঠন হতে যাচ্ছে নতুন সরকার।

তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার মেয়াদ কতদিন বা বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপ-মন্ত্রীরা কতদিন দায়িত্ব পালন করবেন? এ প্রশ্নের উত্তর সংবিধানেই বলে দেওয়া আছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পর ৩ জানুয়ারি শপথ নেন মহাজোটের সংসদ সদস্যরা (এমপি)।

ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  

এ সময় সরকার তথা মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একাদশ সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন তারা।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। ৪৮ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন উপ-মন্ত্রী ছিলেন। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদল ও টেকনোক্র্যাট শাখায় চারজনকে যুক্ত করে ৫২ সদস্যের কলেবরে হয় বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার।

রাষ্ট্রপতির সম্মতি দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বর্তমান মন্ত্রিসভার মেয়াদ সম্পর্কেও বলে দেওয়া আছে।

এতে বলা হয়, ‘নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য করা হবে। ’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংখ্যার কমপক্ষে ১০ ভাগের ৯ ভাগ নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ পাবেন। সর্বোচ্চ ১০ ভাগের ১ ভাগ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত (টেকনোক্র্যাট) হতে পারবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়াবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় কতজন সদস্য থাকবেন তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। কেউ কেউ বলছেন, এটি ৬০ সদস্যের মধ্যে হতে পারে। মন্ত্রিসভায় কারা কারা যুক্ত থাকছেন তা নিয়ে চলছে চুল-চেরা বিশ্লেষণ।

শেখ হাসিনার এবারের সরকারে কারা কারা মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন সে জন্য রোববার (০৬ জানুয়ারি) পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে।  

কারণ, রোববার সকাল থেকে শপথ নেওয়ার জন্য মনোনীতদের আমন্ত্রণ জানানো শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
 
বাংলাদেশ সময়:১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।