সালাউদ্দিনসহ এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ও ঘটনায় জড়িত মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হলো। পলাতক ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারেও পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল।
শনিবার (০৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে ফেনীর সুলতানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সালাউদ্দিন উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্গা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে।
চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, রাতে ফেনীর সুলতানপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল।
ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনদের অভিযোগ, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা।
এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিন, আসামি বেচু, জসিম উদ্দিন ওরফে জইস্যা (৩৫), হাসান আলী ভুলু (৬০), চর বাগ্গা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসুকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
এসআই