আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমনটাই বলছিলেন সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের পরপর দু’বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তার যোগ্যতার জন্য। আমাদের নেত্রী যোগ্য লোককেই সম্মান দিয়েছেন। তিনি জনপ্রশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, তার আগে এলজিইডি মন্ত্রণালয় এবং আমাদের পার্টি, নীতি নির্ধারণী কমিটি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এখন তিনি থাকবেন না, কিন্তু তার কর্ম তো থাকবে।
সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে দেশ একজন সুযোগ্য নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী তার স্নেহের একজন ছোট ভাইকে হারালেন বলে উল্লেখ করলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেন, একজন তরুণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, তার দেখানো অনেক পথ আমাদের চলার পথের পাথেয় হবে এবং সৈয়দ আশরাফ ভাই আমাদের অনুকরণীয় একজন দৃষ্টান্ত, একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা চাইবো যে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, আমাদের তরুণ প্রজন্ম আশরাফ ভাইয়ের মতো করে নিজেদের জীবনকে ধারণ করার চেষ্টা করবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ডাক পাওয়া প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সৈয়দ আশরাফ দলকে লালন করতেন। তিনি চলে যাওয়ায় দেশ যেমন ভালো মানুষ হারালো, দলও তেমন যোগ্য একজন নেতাকে হারালো।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার বলেন, সৈয়দ আশরাফ ছাত্র সমাজকে আগলে রাখতেন।
ইউরোপ আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম বলেন, আমি বেশ কাছ থেকে তাকে দেখেছি। তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে দলের জন্য কাজ করেছি। ওনার কাছ থেকেই রাজনীতি, সততা ও কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা শিখেছি নতুন করে।
আর সৈয়দ আশরাফ তার শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে যেভাবে কাজ করেছেন, তার অবর্তমানে পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেভাবেই করবেন বলে জানালেন সৈয়দ আশরাফের ভাই সাফায়েত উল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা ভাই-বোনেরা সবাই কাজ করেছি এবং করছি। আমরা সব সময় দেশবাসীর জন্য কাজ করছি। আমাদের নিজেদের এলাকার জন্য কাজ করছি। আমরা সব সময় মানুষের পাশে আছি আর চাইবো মানুষও আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এইচএমএস/ইএআর/এএ