রোববার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের দফতর বণ্টনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন মোস্তাফা জব্বার; নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ির এই কৃতিসন্তান এর আগেও এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
এছাড়া আশরাফ আলী খান খসরুকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, শরীফ আহমেদকে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, কে এম খালিদ বাবুকে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং মো. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
বিদায়ী মন্ত্রিসভায় ময়মনসিংহ জেলা থেকে টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। আর শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মির্জা আজম বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী এবং নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
এবার তাদের প্রত্যেকেই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। শেরপুর জেলা থেকে প্রথমবারের মতো কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী না পেলেও ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও জামালপুর জেলায় এই পাঁচজনকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
শপথের জন্য বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ির কৃতি সন্তান। একই জেলা থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শপথ নেবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু।
তিনি নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক। নবম সংসদেও সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন খসরু।
ডাক পেয়েছেন ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসন থেকে টানা দুইবার নির্বাচিত এমপি শরীফ আহমেদও। তার বাবা প্রয়াত ভাষা সৈনিক শামসুল হক একই আসন থেকে বেশ কয়েকবার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য কে এম খালিদ বাবু পেয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসন থেকে নির্বাচিত ডা. মুরাদ হাসান প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন। তাকে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। ২০০৮ সালেও তিনি হন এই আসনে।
মুরাদ হাসানের বাবা অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। দীর্ঘদিন তিনি জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিও ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএএএম/এমএ