রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাতে আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুস্মিতা ওই গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে ও গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
আটক জয়দেব সরকার একই গ্রামের নির্মল সরকারের ছেলে ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
শিশুটির বাবা প্রশান্ত দাস জানান, তার মেয়ে প্রতিবেশী নির্মল সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অম্বিকা সরকারের কাছে প্রতিদিন বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যেতো। রোববার বিকেলে অম্বিকা বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়দেব সরকার সুস্মিতাকে প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়িতে ব্যাগ রেখে আবারো তার কাছে যেতে বলে। সন্ধ্যায় তাকে গাবতলার সত্য রঞ্জন দাসের দোকান থেকে খাবার কিনে দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুস্মিতা কে ধর্ষণ করে জয়দেব। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মারা গেছে ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয় সে। সুস্মিতাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে বাড়ির লোকজনসহ গ্রামবাসী। একপর্যায়ে পুকুরে জাল ফেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে এবং জয়দেব সরকারকে আটক করে পুলিশ।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বাংলানিউজকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক জয়দেব সরকার ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করায় আদালতের মাধ্যমে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
আরএ