সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রীতি অনুযায়ী, প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এরই মধ্যে শপথ নিতে গণভবনে এসে পৌঁছেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার। অন্যরাও পথে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পড়ুন>>এবার শপথ
এই শপথের মধ্যে দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা; যা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি নতুন মাত্রা।
এর আগে রোববার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম এবং দফতন বণ্টনের কথা জানানো হয়।
এবারই প্রথমবার শপথের আগে মন্ত্রীদের তালিকা ও দফতর বণ্টনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ও পুরাতনের সমন্বয়ে গঠিত শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এবার ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী থাকছেন।
বিদায়ী সরকারে থাকা ৩৬ জনের নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি। আর নতুন সরকারের প্রথমবারের মতো সরকারের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন ৩১ জন। এদিকে এবার মহাজোটের শরিক দলের কোনো নেতাকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। শুধু আওয়ামী লীগ নেতারাই থাকছেন মন্ত্রিসভায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র বলছে, নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলেই ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি গঠিত পুরনো মন্ত্রিসভার ভেঙে যাবে। যারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টা ছিলেন, মন্ত্রিসভার শপথের আগেই তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে। পরবর্তীতে নতুন করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বঙ্গভবন সূত্র বলছে, শপথ অনুষ্ঠানের জন্য দরবার হলে এক হাজারের মতো অতিথির বসার ব্যবস্থা হয়েছে। সামনের সারির চেয়ারগুলোতে যারা বসবেন তাদের নামের ট্যাগ ইতোমধ্যে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ মঞ্চ সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে। একসঙ্গে শপথ নেওয়ার সুবিধার জন্য বসানো হয়েছে মাইক স্ট্যান্ড। শপথ অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গভবনের মাঠে থাকছে আপ্যায়নের ব্যবস্থা।
পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ অতিথিদের দাওয়াতপত্র পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় ওই সূত্র।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা করে আওয়ামী লীগ জোট। জোটগতভাবে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৮৮ আসন। এককভাবে এ সংখ্যা ২৫৭। আর মহাজোটে থাকা জাতীয় পার্টি ২২টি আসন পেয়েছে।
এবার সংসদে বিরোধী দলে থাকার ঘোষণা দিয়েছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন দলটি।
গত ৩ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ হয়। এরপর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।
পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ওই সময় তাকে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এসএম/এমইউএম/এমএ