মামলায় নাহিদ (৪৫) ও লিটন (৫০) নামে দুই ভাইকে আসামি করা হয়েছে। এরইমধ্যে এক আসামি ছোট ভাই নাহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকের ওই ঘটনার দুইদিন পর সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) গোণ্ডারিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহত শিশুর বাবা ইদ্রীস আলী। এর আগে রোববার (০৬ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে মনির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
গেণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামি নাহিদ ও লিটনদের বাড়ির পাশে ভাড়া থাকতো শিশুটির পরিবার। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে নাহিদ কৌশলে শিশু মনিকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এতে শিশুটি কান্নাকাটি করে মার কাছে যেতে চাইলে নাহিদ তখন শিশুটিকে ভবনের তৃতীয় তলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। পরে ঢামেক হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ওসি আরো জানান, নাহিদের কক্ষে ঘটনার কিছু আগে শিশু মিম কান্নাকাটি করে তার মায়ের কাছে যেতে চায়। দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে আসামি নাহিদের মেয়ে তার কক্ষে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে একটি শব্দ শুনতে পায় নাহিদের মেয়ে। পরপরই আশপাশের লোকদের চিৎকার, শিশু মনি নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, কি কারণে শিশুটিকে ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে? মৃত্যুর আগে কোনো ঘটনা ছিল কি-না, এসব বিষয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গেণ্ডারিয়া এলাকার একটি সূত্র জানায়, মিমের মৃত্যুর সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী গেণ্ডারিয়া থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস