মুক্তিযুদ্ধের এ বীরসেনানী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা আমার ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রেখে মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা রাখতে যা যা করণীয় সবই করবো। তার (প্রধানমন্ত্রী) লক্ষ্য সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাতে বাংলানিউজকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ দৃঢ়প্রত্যয় ঝরে প্রতিমন্ত্রী খসরুর কণ্ঠে। বিকেলে বঙ্গভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও দায়বদ্ধতার জায়গা বেড়েছে বলে মনে করেন খসরু। তিনি বলেন, আগের মেয়াদে আমাদের সরকার ক্ষমতায় ছিলো। তাই আগে থেকেই কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুসারে কাজ করে যাবো।
‘বিশ্ব দরবারে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় করতে প্রধানমন্ত্রী দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তার সেই লক্ষ্য পূরণে তিনি আমাকে সুযোগ দিয়েছেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার সেই সুযোগের যথাযথ সম্মান দিয়ে কাজ করবো। ’
প্রতিমন্ত্রী খসরু বলেন, ভাটি অঞ্চল অর্থাৎ হাওরসহ দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জলাশয় ও মৎস্য ভাণ্ডার এবং প্রজনন কেন্দ্রগুলো আজ ধ্বংসের পথে। অথচ এখান থেকে দেশের মৎস্য চাহিদার অনেকটা পূরণ হয়। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, যিনি আমার ওপর বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবো।
একইসঙ্গে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদী নদী রক্ষায়ও নজর থাকবে বলেও জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
আশরাফ আলী খান খসরু নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) হয়েছেন। এই আসন থেকে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এমপি হন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের টানা দুইবারের সাধারণ সম্পাদক খসরুর রাজনীতিতে হাতেখড়ি শৈশবে। তার বাবা নুরুল ইসলাম খান (এন আই খান) ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের অনত্যম এই সংগঠক পরে নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র হন।
খসরুর মা হেনা ইসলামও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সেনানী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা খসরু নেত্রকোণা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
১৯৬৯ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে সাড়া দেন দেশমাতৃকা স্বাধীন করার ডাকে। স্বাধীনতার পর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন খসরু।
১৯৪৯ সালে জন্ম নেওয়া খসরু জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার স্ত্রী কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএ/এইচএ/