তারা বলছেন, জনগণ শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশে থাকতে চায়, নিরাপদে ঘুমোতে চায়। চায় নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে চলাফেরার নিশ্চয়তা।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা শ্রেণী-প্রেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন প্রত্যাশার কথা জানা যায়।
অনেকে ছিনতাই, মাদক ও দুর্নীতি নির্মূলে সরকারকে এবার গভীর মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে যেন চাঁদাবাজি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যও সরকারকে উপদেশ দেন অনেকে। কিশোরগঞ্জের রাকিব রাজধানীর খিলগাঁওয়ে থাকেন ১০ বছর ধরে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা বা দাবি-দাওয়া আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারের নানা উন্নয়নের সঙ্গে আমরাও জড়িত। এসব উন্নয়নে শ্রম বিনিয়োগ করি আমরা। অনেক সময় রাস্তা, ড্রেনেজের কাজ থেমে যায় চাঁদার কারণে। দিনের পর দিন বেকার থাকতে হয় আমাদের। কাজ না করলেতো আর টাকা আসে না। নতুন বছরে নতুন সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া থাকবে, সবরকম চাঁদাবাজকে যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তাহলে সরকারের উন্নয়নে কেউ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে না। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। ’
শান্তিনগর এলাকার মসলা বিক্রেতা সবুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ, সরকারের কাছ থেকে বড় কিছু চাই না। তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যেন জনগণের কথা শোনেন, তাদের বোঝার চেষ্টা করেন। যেহেতু নতুন সরকারের নতুন অনেক মন্ত্রী এসেছেন, আশা করছি তারা জনগণের সঙ্গে মিশতে পারবেন। জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে মূল্যায়ন করবেন। ’
পল্টন এলাকায় পাঁচ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে আসা হাফিজ বলেন, ‘আমরা চাই যানজট যেন শৃঙ্খলার মধ্যে আসে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নের চেয়ে এই যানজট দূর করতে হবে আগে। তাহলে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে, পুরা শহরে শান্তি থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
ইএআর/এইচএ/