মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিলে বিআরটিসির বিভিন্ন বাসগুলোকে চলতে দেখা গেছে। তবে জোয়ার সাহারা বাস ডিপোর গাড়ি বন্ধ থাকায় কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এ রুটের সাধারণ জনগণকে।
উত্তরা থেকে বনানী, ফার্মগেট, মতিঝিল বা রাজধানীর অন্য কোনও এলাকায় যেতে গিয়ে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সাধারণ যাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহনে ডিপোর যে বাস ছিল, সেগুলো নিয়েও বিক্ষোভের দিন বের হননি চালকরা। ফলে এ রুটে চলাচল করতে তাদের নিতে হয়েছে অন্যান্য পরিবহনগুলোর সাহায্য।
রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস না থাকায় হাতেগোনা যে কয়টি গণপরিবহণ দেখা গেছে, সেগুলোর সবই ছিল যাত্রী পূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে খিলক্ষেত থেকে ফার্মগেট আসার জন্য অপেক্ষা করা মধ্যবয়সী যাত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, সকাল থেকেই আজ এ রুটে বিআরটিসি বাস বন্ধ রয়েছে। ফলে শাহবাগ বা ফার্মগেট যেতে যাত্রীদের বেশ ভোগান্তিই পোহাতে হচ্ছে। কেননা এ রুটে বাসের সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। আর যেগুলো আছে, সেগুলোতেও যেন তিল ধারণের জায়গা নেই।
এদিকে, রাজধানীর মহাসড়কে অন্য ডিপোর একাধিক বাসের চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রতিটি ডিপোতেই আলাদাভাবে হয়। খিলক্ষেতে প্রায় ৮ মাসের বেতন বকেয়া থাকার কারণে তারা বিক্ষোভ করছেন। তবে মিরপুর, কমলাপুর বা মতিঝিল ডিপোতে শ্রমিকদের বেতন কিছুটা বকেয়া থাকলেও তা খুব বেশি নয়। ফলে খিলক্ষেতের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই তারা নির্দিষ্ট রুটে সময় মতোই বাস নিয়ে বের হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/