পলি জমে দীর্ঘদিন ধরে ভরাট ছিল নদীটি। এটি খনন করা ছিল হাওরবাসীর প্রাণের দাবি।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কৃষকরা ব্যস্ত জমি চাষে। আজমিরীগঞ্জ ছাড়াও প্রকল্প এলাকার মাঝে রয়েছে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়ন এবং কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বৈরাকী ইউনিয়ন।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বশিরা নদী খনন কাজ শুরু হয়েছে। নদীর ১৭.৫ কিলোমিটার খনন করা হবে। একইসঙ্গে বেড়িবাঁধ তৈরি করা হবে ১৪ কিলোমিটার। জলকাঠামো থাকবে দুইটি। একটি রেগুলেটর এবং একটি কজওয়ে। কজওয়ের ফলে নৌকা চলাচলের জন্য কোনো বাঁধ কাটতে হবে না। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আগাম বন্যা থেকে রক্ষা পাবে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল। পাশাপাশি সেচের আওতায় আসবে ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পে হবিগঞ্জের দুই উপজেলার দু’টি ইউনিয়ন এবং কিশোরগঞ্জের একটি উপজেলার একটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বাংলানিউজকে জানান, এই নদীটি ভরাট থাকার কারণে কৃষকরা ছিলেন লোকসানে। অনেক সময় একটু বন্যা হলেই তলিয়ে যেতো ফসল। এছাড়া সেচের জন্যও পোহাতে হয়েছে অনেক দুর্ভোগ। এই নদীটি খননের উদ্যোগ ছিল এখানকার মানুষের প্রাণের দাবি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
আরএ