মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে থেকে শুরু হওয়া এ যানজট বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত বহাল রয়েছে। বর্তমানে যানবাহনগুলো থেমে থেমে ধীর গতিতে চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহাসড়কের এই অংশে মালবাহী যানবাহনের জন্য প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকে। গোমতী ও মেঘনা সেতু এলাকায় টোল আদায় করতে গিয়ে টোল আদায়কারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে চালক-হেলপারদের কথা কাটাকাটিতে কালক্ষেপণের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ফলে তীব্র যানজটে পড়ে কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে ৮/৯ ঘণ্টা সময় লাগে। যেখানে যানজট না থাকলে ঢাকায় পৌঁছাতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে।
নির্মাণাধীন দ্বিতীয় গোমতী, মেঘনা ও কাঁচপুর সেতুর কারণেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে মেঘনা সেতু থেকে দাউদকান্দির বারপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কি. মি. সড়ককের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সকালের দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে গৌরীপুরের বারপাড়া পর্যন্ত ৭ কি.মি. অংশে যানজট প্রকট থাকলেও ঢাকা থেকে কুমিল্লা আসার অংশে যানজট কমে যায়।
রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসা বাসের যাত্রী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইমুম হাসান জানান, রাত ৯টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ভোর ৬টায় কুমিল্লায় এসে পৌঁছেছি। সারারাত বাসেই বসেছিলাম। একই জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস আটকে ছিল।
রহিম মিয়া নামে যাত্রীবাহী বাসের এক হেলপার জানান, মেঘনা এলাকায় রাস্তার দুপাশেই যানজট তীব্র। একই জায়গায় ২/৩ ঘণ্টা করে বসে থাকতে হচ্ছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বুধবার দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, কুমিল্লার অংশে ৭ কি.মি. যানজট রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার অংশে যানজট নেই। তবে মেঘনা সেতু এলাকায় তীব্র যানজটের প্রভাব এ অংশেও পড়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমজেএফ