বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এবং ‘স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন’ উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাপার সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ।
এ সময় সাঈদ বলেন, এক সময় গ্রাম বা শহর অঞ্চলে কোনো অটিস্ট্রিক শিশু জন্ম নিতো না।
তিনি বলেন, সরকার জলবায়ুসহ অনেক ধরনের বড় বড় প্রকল্প নেয়, এর কিছুটা কাজ হয়তো হয়। তবে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। আবার সুশীল সমাজকেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ ছাড়াই প্রকল্প নেওয়ায় রাতের অন্ধকারে তা পাল্টে যায়। আবার দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষেরা নিজেদের স্বার্থে সেটা ব্যবহার করে। এতে প্রকল্প থাকে, কাগজ-কলম থাকে কিন্তু এর চিত্র উল্টে যায়। আমরা জলবায়ু নিয়ে সরকার, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞানী, বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলবো।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের সঙ্গে জলবায়ু যুক্ত হয়েছে। এতে পরিবেশবাদীদের আরও ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনে কোনো সমস্যা হলে আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কারণ বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। জলবায়ুর কারণে দেশে একবার পানি ঢুকলে দেশের বেশিরভাগ অংশ তলিয়ে যাবে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন হবে। সেখানে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক বিজ্ঞানী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। সেখানে হাওড়, উপকূল, সুন্দরবন, জলবায়ু নিয়ে মোট ছয়টি থিমে ৮৯টি গবেষণা উপস্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম, বাপার অস্ট্রেলিয়া কো-অর্ডিনেটর কামরুল আহসান খান, আহমেদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/