ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সংকটে মানবসভ্যতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সংকটে মানবসভ্যতা সংবাদ সম্মেলনে বাপার সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মহাসংকটে পড়েছে মানবসভ্যতা। এর সঙ্গে জলবায়ু যুক্ত হওয়ায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। একবার জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে পানি ঢুকলে বেশির ভাগই তলিয়ে যাবে।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এবং ‘স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন’ উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাপার সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ।  

এ সময় সাঈদ বলেন, এক সময় গ্রাম বা শহর অঞ্চলে কোনো অটিস্ট্রিক শিশু জন্ম নিতো না।

আজ দেশের মধ্যে শতকরা ৫ শতাংশ শিশুই অটিস্ট্রিক হয়ে জন্ম নিচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক নেই এমন প্রমাণ নেই, আবার পরিবেশ দূষণে এমন হচ্ছে না এটার বিরুদ্ধেও কেউ বলতে পারবেন না। আমাদের পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে থাকায় মানবসভ্যতাও মহাসংকটে পড়ছে।

তিনি বলেন, সরকার জলবায়ুসহ অনেক ধরনের বড় বড় প্রকল্প নেয়, এর কিছুটা কাজ হয়তো হয়। তবে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। আবার সুশীল সমাজকেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ ছাড়াই প্রকল্প নেওয়ায় রাতের অন্ধকারে তা পাল্টে যায়। আবার দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষেরা নিজেদের স্বার্থে সেটা ব্যবহার করে। এতে প্রকল্প থাকে, কাগজ-কলম থাকে কিন্তু এর চিত্র উল্টে যায়। আমরা জলবায়ু নিয়ে সরকার, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞানী, বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলবো।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশের সঙ্গে জলবায়ু যুক্ত হয়েছে। এতে পরিবেশবাদীদের আরও ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনে কোনো সমস্যা হলে আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কারণ বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। জলবায়ুর কারণে দেশে একবার পানি ঢুকলে দেশের বেশিরভাগ অংশ তলিয়ে যাবে।

বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন হবে। সেখানে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক বিজ্ঞানী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। সেখানে হাওড়, উপকূল, সুন্দরবন, জলবায়ু নিয়ে মোট ছয়টি থিমে ৮৯টি গবেষণা উপস্থাপন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম, বাপার অস্ট্রেলিয়া কো-অর্ডিনেটর কামরুল আহসান খান, আহমেদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।